প্রকাশিত: ২১/০৫/২০১৭ ১০:১৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৪৮ পিএম

দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পর গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান দায়িত্ব নিলেন দরিদ্র মেধাবী জুয়েলের। রোববার সকালে ইউএনও জুয়েলের দক্ষিণ চুয়ারীয়াখোলা গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে পরিবারের কাছে দায়িত্ব নেওয়ার কথা প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কমার্স বিভাগের শিক্ষার্থী চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দারিদ্রতাকে জয় করে জিপিএ-৫ অর্জন করে। সেই খবর দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশ হয়। পরে সেটা সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে ভাইরাল হলে সংবাদটির দৃষ্টি আকর্ষণ হয় গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের। ওই সংবাদের প্রেক্ষিতে ডিসি কালীগঞ্জ ইউএনও’কে দরিদ্র মেধাবী জুয়েলের খোঁজ-খবর নিতে বলেন। পরে ইউএনও খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান জুয়েলের বাড়ীতে গিয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে জুয়েলের উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব নেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফরহাদ হোসেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আরমান, দক্ষিণ চুয়ারীয়াখোলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে ওই সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসী বাঙ্গালীরা জুয়েলের দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রতিবেদককে ফোন করেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এসএসসি’র ফলাফল প্রকাশের পর কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ওই প্রেসক্লাবে কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে তারা তাদের ব্যক্তিগত আইডিতে দারিদ্র জয় করে জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবীদের যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন। সেই প্রেক্ষিতে উপজেলার দক্ষিণ চুয়ারীয়াখোলা জামে মসজিদের ইমাম জুয়েলের পক্ষে যোগাযোগ করেন এবং তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। আর সেই প্রেক্ষিতে তার উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব নেন কালীগঞ্জ ইউএনও।

পাঠকের মতামত